Wellcome to National Portal
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মানদন্ড নির্ধারণী বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

মুহাম্মদ আনওয়ারুল করিম, এফসিএ, যিনি পেশাগত জীবনে একজন পেশাদার একাউন্টেন্ট ও কনসাল্টেন্ট, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের মানদন্ড নির্ধারণী বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
জনাব করিম ১৯৮৬ সালে একজন পেশাদার একাউন্টেন্ট (সিএ) হিসেবে উত্তীর্ন হন এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)- এর সম্মানিত সদস্যপদ লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তিনি আমেরিকার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য থেকে সার্টিফাইড পাবলিক একাউন্টেন্ট (সিপিএ) ডিগ্রী অর্জন করেন। 
তিনি একনাবিন (ACNABIN), চার্টার্ড একাউন্টেন্টস, আর্থার এন্ডারসেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড- এর সাবেক প্রতিনিধি, এর একজন অংশীদার হিসেবে তিন বছর কাজ করেছেন। নিরীক্ষা চর্চা পদ্ধতি উন্নীতকরণের লক্ষ্যে একটি সহায়ক গ্রন্থ (ম্যানুয়াল) প্রস্তুতকরণ, আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপন এবং নতুন মক্কেল ও প্রকল্প লাভের মাধ্যমে তিনি ফার্মটির অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন। জনাব করিম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, সর্বোচ্চমান বজায় রেখে, ফার্মের পক্ষ হতে, মতামত প্রদানপূর্বক সকল নিরীক্ষা ও কনসাল্টেন্সির কাজগুলো সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়াও, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (১৮১ টি নিরীক্ষা ফার্ম)- এর পুনর্গঠন এবং উন্নয়ন কার্যে একজন ‘প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ডস কনসাল্টেন্ট’ হিসেবে জনাব করিম ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস (আইসিএইডব্লিউ)- এর সাথে দুই বছর কাজ করেছেন। । তদসময়ে, ১৮১ টি নিরীক্ষা ফার্মের সবকয়টির নিরীক্ষা চর্চার মান ব্যাপক হারে উন্নীত হয়েছিল। এটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আইসিএইডব্লিউ- আইসিএবি- এর দ্বৈত প্রজেক্ট ছিল। তিনি আইসিএবি নিরীক্ষা ফার্ম চর্চার পূর্ণ সমগমন, আইসিএবি- এর সিলেবাস প্রণয়ন এবং আইএফআরএস (IFRS) ও আইএসএ (ISA)- এর উপর ১২ টি স্টাডি ম্যানুয়াল প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত ছিলেন। এর পাশাপাশি, জনাব করিম আইসিএবি- এর অডিট এন্ড এস্যুরেন্স পরীক্ষার বিগত বছরের (২০০৮-২০১৮) প্রশ্নপত্রের সম্ভাব্য সমাধান প্রস্তুত করেছেন। 
তিনি আইএফআরএস ইন্সটিটিউটের সাথেও একত্রে কাজ করেছেন এবং গবেষণা সংক্রান্ত সমুদয় জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি আইএফআরএস- এর উপর স্টাডি ম্যাটারিয়ালস প্রস্তুতকরণ, বাংলাদেশের পেশাদার একাউন্টেন্টদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (আইএফআরএস) ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অন অডিটিং (আইএসএ) এর উপর শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষন প্রদান করেছেন। 
দেশ এবং দেশের বাহিরে তার দীর্ঘ কর্মজীবনে, জনাব করিম বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্টিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)- এর সহযোগী প্রধান হিসাবরক্ষক, বেডফোর্ড স্টুইভেস্যান্ট রিস্টোরেশন কর্পোরেশন (ইউএসএ)- এর সিনিয়র হিসাবরক্ষক, এল্লিইন এন্ড কোম্পানী (ইউএসএ)- এর সিনিয়র হিসাবরক্ষক, ওএইচবিটিএ ইনকর্পোরেশন (ইউএসএ)- এর সহকারী নিয়ন্ত্রক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তাজিকিস্তানে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)- এর অর্থায়নে কাস্টম মডার্নাইজেশন প্রকল্পের একটি নিরীক্ষা কার্য পরিচালনাসহ তানজানিয়া, উগান্ডা এবং লাইবেরিয়াতে বিভিন্ন অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান (NGO/NFI)- এর জন্য ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কনসাল্টেন্সি প্রদানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি একজন পেশাদার একাউন্টেন্ট ও কনসাল্টেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে:
গ্রুপ অব কোম্পানিজ: সামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, র‌্যাংকস্ টেলিকম, আমিন জুট, এবং অন্যান্য।
সরকারি প্রতিষ্ঠান: বিটিসিএল, ইডিসিএল, আরইবি, পিডিবি, এলজিইডি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিইএসএ, ডেস্কো, তিতাস গ্যাস।
দাতা সংস্থা: ডিএএনআইডিএ, সিআইডিএ, এসডিসি, ডিএফআইডি, ইউএস এইড, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ডব্লিউএফপি।
এনজিও: ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল, পিডিবিএফ, পিকেএসএফ, সিআইআরডিএপি, ক্রিশ্চিয়ান এইড, ওয়াটার এইড।
ব্যাংক: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক।
নিবন্ধিত কোম্পানী/ বীমা কোম্পানী: জনতা ইনস্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, রূপালী ইনস্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স।
জনাব করিম ১লা জুলাই ২০১৮ সালে মানদন্ড নির্ধাারণী বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে এফআরসি-তে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি কাউন্সিলের সদস্য ও সদস্য সচিব এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে গঠিত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলাদেশে একাউন্টেন্সি পেশার জন্য নীতি নির্ধারণ বিষয়ে জনাব করিম অর্জন করেছেন সম্যক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, যা প্রয়োগ পূর্বক তিনি দেশের একাউন্টেন্সি পেশার মানোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।